aimatropawakhabor
শরীয়তপুর, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ইং
দুপুর
শরীয়তপুর, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ইং
aimatropawakhabor
শিরোনাম

ভালোবেসে বিয়ে যৌতুকের মোটরসাইকেল না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ।

০৭-অগাস্ট-২০২৩, সকাল ১১:৪১      

itpoka

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: মিরাজ পালোয়ান

শরীয়তপুর সদর উপজেলা চন্দ্রপুর ইউনিয়নের মতিউর সরদারের ছেলে সুজাল সরদারের সাথে রত্না তার খালার বাসা ঢাকা উত্তরায় বেড়াতে গিয়ে পরিচয় হয় তারপর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

মানিকগঞ্জ জেলা সদরের খিলিন্দা গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম রতনের মেয়ে রুবিয়া ইয়াসমিন রত্নার সাথে চন্দ্রপুর ইউনিয়নের সুজাল সরদারের সাথে উভয় পরিবারের অসম্মতিতে বিয়ে হয়। বিয়ের আড়াই বছরে রত্না - সুজাল দম্পত্তির মাঝে পুত্র সন্তান জন্ম হয়। একপর্যায়ে উভয় পরিবার রত্না ও সুজালের বিয়ে মেনে নেয় রত্না তার শ্বশুরবাড়ি চন্দ্রপুরে সাত মাসের পুত্র ছেলে রহমতউল্লাকে নিয়ে বসবাস করতেন। শ্বশুর বাড়ির পরিবারের লোকজনের সাথে রত্নার ভালো সম্পর্কই ছিল। কিছুদিন পরে স্বামী সুজল ও শশুর শাশুড়ী একটি মোটরসাইকেল যৌতুক দাবি করেন। দাবি পূরণ না করায় রত্নার উপরে প্রতিনিয়ত টর্চারিং শুরু করে স্বামী ও শশুর শাশুড়ি। 

শনিবার (৫ আগস্ট)দুপুরে নিহত রত্নার বাবা রফিকুল ইসলাম রতন বলেন, আমার মেয়েকে তিনদিন ধরে মেয়ের জামাই ও শশুর শাশুড়ী মিলে মারছে। কিছুদিন আগে আমার কাছে একটা মোটরসাইকেল চাইছিল। তারপর আমি বলছি বাবা কিছুদিন পরে আমি মোটরসাইকেল কিনে দিমু ১৫ দিন আগে আমার মেয়ের জামাইয়ের সাথে এই কথা হয়েছিল। তিনদিন আগে হটাৎ করে আমার মেয়ে একটা নাম্বার দিয়ে ফোন করে বলে যেভাবে পারো বাবা মোটরসাইকেল কিনে দাও। ওরা আমার ওপরে খুব টর্চারিং করতাছে নাইলে আমি আর বাঁচবো না আমারে লইয়া যাও কালকে হঠাৎ করে আমারা মেয়ের শশুর বাড়ির প্রতিবেশী আমার স্ত্রীর নাম্বারে কল দিয়ে বলে আপনার মেয়ে তো আর নাই আপনার মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করছে। এই কথা শুনে আমি আমার মেয়ের জামাইকে ফোন দিলে সে রিসিভ করে নাই তারা আমার মেয়েকে হত্যা করছে আমি তাদের ফাঁসি চাই।

নিহতের খালা আসমা বেগম বলেন, আমার বোনের মেয়েকে তার স্বামী ও শশুর শাশুড়ি একটি মোটরসাইকেল যৌতুক না দেওয়ায় তাকে হত্যা করেছে। রত্নার স্বামী সুজল বিভিন্ন অজুহাত  দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে টাকা নেয় তার সংসারটা আমাদের টাকায় চলত আজকে আমরা মুন্সিগঞ্জ থেকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে রত্নার মরদেহ নেওয়ার জন্য আসছি কিন্তু রত্নার শশুর বাড়ির লোকজন কেউ নাই তারা মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে আমরা এই হত্যাকারীদের বিচার চাই এইরকম মোটরসাইকেল যৌতুকের জন্য আর কোন মেয়ের জীবন যেন দিতে না হয়। 

মৃত্যুর বিষয়টি জানার জন্য রত্নার স্বামী সুজলের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, ঘটনার পরবর্তী ঘটনাস্থলে যাই মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করি এখনও মৃত্যুর বিষয়টি সঠিকভাবে জানা যায়নি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আর্কাইভস | ০৭-অগাস্ট-২০২৩

আর্কাইভস | শরীয়তপুর পোষ্ট